দীর্ঘশ্বাসের কবিতা - ২

 

দীর্ঘশ্বাসের কবিতা - ২

সমরেন্দ্র বিশ্বাস

@

সকাল

#

সারা রাত্রি বৃষ্টি ঝরেছিল

সারা রাত্রি কেউই ঘুমোতে পারি নি।

মেঘ কেটে গেলে রামধনু উঠেছিল।

তখনই তোমাকে দেখলাম, চুপিচুপি দেখলাম

তোমার দুচোখে অরণ্যের সকাল,

ঠোঁটে হাসিটুকু যেন প্রত্নগুহার চিঠি।

@

বিকেল

#

সারা দুপুর কলম পিষেছি, কাজ করেছি;

সারা দুপুর রক্তে তুমি রিনরিন বেজেছ।

হঠাৎ বিকেলে আজ কি এমন হল

দেখেও না দেখার মতো

তুমি চলে গেলে সম্ভাষণহীন।

@

রাত্রি

#

একে একে তোমার ঘরের লাইটগুলো নিভে গেল।

জানালার সরু ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়ল তীব্র নিঃশ্বাস।

লম্পটের মতো আমি সারারাত্রি কালভার্টে বসে রইলাম,

একটা রাতপাখি সারারাত্তির ডেকে চলল যন্ত্রণাকে।

@

উপসংহার

#

ঘুরতে ফিরতে যে স্বপ্নগুলো কুড়িয়ে পেয়েছিলাম

তার সবটুকু জমা করেছিলাম তোমারই হাতে,

জানতাম, তোমার দুহাতেই এসব মানায়।

মাঝে শুধু কতগুলো দিন,

তোমার হাতে সেসব স্বপ্ন আজ নুড়ি পাথরের ঢেলা!

 

[ পিতৃস্মৃতি, উদ্বাস্তু শিক্ষিকা ও অন্যান্য কবিতা (2005) ]

 

Comments

Popular posts from this blog

জীবন

আমার অপমানিত সিঁড়ির বুক মাড়িয়ে

দয়াবতী, যাও, ফিরে যাও!