Posts

Showing posts from January, 2021

শোকে নেই, শপথে থাকো

  শোকে নেই , শপথে থাকো # এ শোক কি অন্তহীন রাত ? ভোর কি হবে না ? # তার উল্টানো চোখে তবু জেদ হাড়গোড় চুরমার বুকের দুধারে ছ্যাঁদা মারা গেছে সে এবং এমনি আরো অসংখ্য প্রশান্ত - প্রবীর # আপতিত মৃত্যু ! মাত্র একটি রেখার খোঁচায় তার মুষ্টিবদ্ধ জীবনের সমাধান সারা , পরীক্ষক শুধুমাত্র নিয়ে গিয়েছিল লাশঘরে তারে ! # এ শোকের শেষ নেই এখনো অনেক বাকী যারা যাবে লাশঘরে :        দেখে দেখে শোক নেই । # খোলা আকাশের নীচে কোলাহল করে এমনি যদিও অনেক মানুষ এখনো মরে নি – # ওদের বাঁচাও ! # * #   সমরেন্দ্র বিশ্বাস                [ তবু স্পন্দমান পথ ]

অভিমুখ

  অভিমুখ # # # ধ্বংসস্তুপ হেঁটে যাক্ নির্মাণের দিকে সময়ের স্তুপাকার জঞ্জাল রাবিশ দু’ হাতে হটিয়ে যদি দ্যাখো ভঙ্গুর এ শরীর ভেঙে পড়ে আছে, জেনো, বহু নির্মাণের স্বপ্নসাধ মানুষের জীবনে জীবনে এখনো জড়িয়ে। ধ্বংসস্তুপ হেঁটে যাও নির্মাণের দিকে ।   ## ## ## সমরেন্দ্র বিশ্বাস [ অনন্ত জলশব্দে আমি ]

চাবি আছে অনন্ত গুহায়

  চাবি আছে অনন্ত গুহায় সমরেন্দ্র বিশ্বাস # চাবি ছিল , চাবি আছে আজও অনন্ত গুহায়। # নিত্যদিন ক্লান্ত যাতায়াত কিছু স্বপ্ন – কিছু চাঁদ ঘুম, এসব ছাড়িয়েও অনন্ত গুহায় আছে অলৌকিক ঘর , প্রত্ন পাথরের ভাষা কিছু কষ্টকর । # অজানা গুহার কপাটে কত দিন নাড়ি নি কড়া , মিথ্যা কিছু নিয়ন আলোয় স্বেচ্ছাচারী ছিল যত সুখের আখাড়া । # ইচ্ছাতে ধরেছে জঙ ? গুহাদ্বার জনহীন ?          চাবি সে কি কোন রূপকথা, জানে কোন আলাদীন? মশাল জ্বালিয়ে কেউ কি খুঁজেছো অরণ্য প্রান্তর , অন্তরীন গুহা সীমাহীন ? # তির্যক চাঁদের আলো বন্ধু হয়ে ডেকেছে কি ইশারায় ? বলেনি কি – “পাহাড়ের খাঁজে যাও , চাবি রাখা দুর্গম গুহায় - তারে খুঁজে নাও। শুধু দেখে নিও আমাদের উষ্ণতায় কতোটা আগুন।” # সমস্ত জীবন জুড়ে রক্ত আর ঘাম ঝরে ঝরে যায়, অবিরাম সন্ধানের মেধাময় আবিল মায়ায়। চাবি ছিল , চাবি আছে আজও অলৌকিক অনন্ত গুহায়।                        ...

নীল বিষন্নতা

  নীল বিষন্নতা সমরেন্দ্র বিশ্বাস # বারবার ফুটপাথ বদল ভালো কি লাগে ? হে নীল বিষন্নতা , তাহলে সু্যোগসন্ধানীর মতো কেন বার বার বদলে নিচ্ছো পথ ? এতো জানাই ছিল- যে পথ ধরে তুমি যাও তার এক দিকে মৃত নদী , অন্যপাশে প্রিয় শহরের লাশ! এও জানা , ডান বা বাম যেদিকেই যাবে যে কোন রাস্তাই আজ ষড়যন্ত্রপ্রবণ! যেতে যখন হবেই , পথকে কেন এত ভয় ? যে কোন পথই খুঁজে দেয় হারিয়ে যাওয়া কম্পাস ; যে কোন পথের সামনেই রাখা আছে মোরগঝুটি হাওয়া ! হাঁটাই যখন তোমার ভবিতব্য , হে নীল বিষন্নতা ভীতুর মতো কেন বার বার বদলে নিচ্ছো পথ ? # ©biswas.samarendra@ # Published in কবিতা কোণ  

ভুখা কাহিনী

  ভুখা কাহিনী সমরেন্দ্র বিশ্বাস কতদিন ভুখা রয়ে গেলে মেঘে মেঘে আকাশেতে ঠোকাঠুকি হবে? কতদিন ভুখা থেকে গেলে ধান গাছে সবুজ শীষেরা মরে যাবে? কতদিন ভুখা থেকে গেলে মানুষের পেট থেকে যন্ত্রণার নাড়ি-ভুঁড়ি খসে যাবে পথে? বহুদিন ভুখা থেকে থেকে ক্ষুধাতুর কেউ কেউ মাংসাশী পশুর মতো চেটে পুটে খাবে পথে পড়ে থাকা আমাদের নাড়ি-ভুঁড়ি! এতো কিছু জেনে কি না জেনে আগে বাড়ে আমাদের লোভী হাত, ভোদকার শিশি ডাকে কাজু বাদামেরে, এতো কিছু জেনে কি না জেনে মা আমার অরন্ধনে তুলে আনে ছত্রাকের বিষ অভিশাপ। এতো কিছু জেনে কি না জেনে ব্যাঙ্ক রিজার্ভের শস্য– শ্যামলিম নোট ওড়ে ঊর্বরিত দেশে উড়ে উড়ে বসে গিয়ে সম্ভ্রান্ত বাথানে! বহুদিন ভুখা থেকে থেকে মানুষেরা আহ্নিক গতির সাথে চেটে পুটে খায় ম্যালথাস, মার্কস, অর্থনীতিবিদদের যত পান্ডুলিপি। নেতাদের থুকে-যাওয়া উচ্ছিষ্ট ভাষণে গোবরের জল ঢেলে মানুষেরা সসম্মানে আজো খোঁজে ক্লান্তি মাখা লজ্জাবতী ভাত।